পাশবদ্ধ পশু সমানও ভূতলে।



 সত্য কঠোর গুণ সত্য শুনতে কষ্ট হয় কিন্তু শুনতে ত হবেই। সত্য গোপন করে ধর্ম্মের কাজ হয় না। মনুষ্য জন্ম গ্রহণ অষ্টপাশ ষড়রিপু ছাড়া সম্ভব না সুতরাং পাশের বশীভূত হয়ে পশুর ন্যায় মানুষ রূপি আবরণে আছি। একে তো অষ্টপাশ ষড়রিপু নিয়ে আসতে হয় তার উপর পূর্ব্বপুরুষের রক্তে পাপ (জিন) গ্রহণের মাধ্যমে জন্ম নিতে হয়।



 জন্ম নেব রক্ত গ্রহণ করব না তা ত সম্ভব না। রক্তে মায়ের পাঁচ ও বাবার সাত জনের পাপ গ্রহণ করেই জন্ম নিতে হয় তাই আমরা পাশবদ্ধ পশু হয়ে এই পৃথিবীতে বিচরণ করছি। এই মানব রূপি পশু থেকে গুণসাধনা দ্বারা প্রকৃত মনুষ্যত্ব ফিরিয়ে দেওয়া ধর্ম্মের কাজ। ধর্ম্মের মূল উদ্দেশ্য যদি গুণ সাধনা হয় তাহলে চারিদিকে ধর্ম্মের নামে মিথ্যাচার স্থাপন করার কাজ চলছে কেন? ধর্ম্মের মধ্যে সত্য প্রতিষ্ঠিত না হলে প্রকৃত গুণ সাধনার কাজ হবে না। মানব জন্মের মূল উদ্দেশ্য গুণ সাধন অর্থাৎ ধর্ম্ম সাধন।




 ধর্ম্ম কথার অর্থ পথ সুতরাং ধর্ম্মের মূল উদ্দেশ্য গুণ সাধনে পথ চলা অতএব সত্য অবলম্বনে ধর্ম্ম সাধন হওয়াই একমাত্র। কল্পনা অর্থাৎ মিথ্যা আর মিথ্যা মাত্রই পাপোস্পর্শ হয়। পাপ নরক স্থাপন করে তাই আমরা নরক বাসি। এই পৃথিবীকে সর্গে পরিনত করতে পারি গুণ সাধনার মাধ্যমে। এই সুন্দর পৃথিবীতে এসেছি গুণী হয়ে সর্গ স্থাপনের জন্য। সত্য অবলম্বনেই গুণী হওয়া সম্ভব।




 ঈশ্বর আমাদের স্বাধীনতা ও চেতনা দিয়েছেন আমরা কি ভাবে ব্যাবহার করব তা ধর্ম্মই শেখাবে। আত্মমঙ্গল সাধিত না হলে জগতের মঙ্গল সম্ভব না। ধর্ম্মের মধ্যে সত্য ও ধর্ম্ম ধারণকারীর মধ্যে সত্য স্থাপন না হলে নরকেই পড়ে থাকতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ